ংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি,কাভার্ড ভ্যান ও ট্র্যাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রহসনের নির্বাচনী তৎপরতা

শেরার করুন

, না না অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং শ্রম অধিদপ্তরের দায়িত্বে অবহেলা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি।

স্টাফ রিপোর্টার। তারা বলেছেন,

মাননীয় মহোদয়,

বিনীতভাবে জানানো যাচ্ছে যে, আমরা রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান ও ট্র্যাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং রাজ ৯২১)-এর সংক্ষুব্ধ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি প্রদান করছি। ইউনিয়নটির কার্যনির্বাহী কমিটি বিগত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে, শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার হরণ করে এককভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে।

অভিযোগসমূহ:

ক) অবৈধ কমিটি গঠন ও পকেট ভোট তৈরি:
কার্যনির্বাহী কমিটি বহিরাগত (অশ্রমিক) ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রায় ১০০টি শাখা কমিটি গঠন করেছে। এইসব কমিটির মাধ্যমে পকেট ভোট তৈরি করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

খ) ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন:
নির্বাচনে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রায় ২ হাজার ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নেতাদের আত্মীয়-স্বজন, এলাকার লোকজন, দোকানদার, হোটেল মালিক, সিটি কর্পোরেশন ও রেলের লোকজন।

গ) কোরাম ব্যতীত অবৈধ সাধারণ সভা:
ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভার কোরাম পূর্ণ করতে ৬৬% সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন, কিন্তু গত সাধারণ সভায় মাত্র ১০% (প্রায় ৪৫০০ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিতি ৩০০-৩৫০ জন) সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবুও সেই সভায় নির্বাহী কমিটি অবৈধভাবে নিজেদের মনোনীত পাঁচ  সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেন।
ঘ) আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের নির্লিপ্ততা:
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং শ্রম কর্মকর্তারা সাধারণ সভা তদারকির নামে উপস্থিত থেকে-এই অনিয়মের প্রতি মৌন সমর্থন জুগিয়ে বানোয়াট কাগজপত্র তৈরিতে পরামর্শ প্রদান, শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করছেন।
উল্লেখ্য সাধারন সভার দিন পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করনের কাজ সমাপ্ত করেন নাই।
ঙ) অর্থনৈতিক অনিয়ম ও চাঁদাবাজি:
প্রতি বছর ইউনিয়নটিতে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হয়, যা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবহৃত না হয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা হয়। আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এসব বিষয় ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে দায়িত্বে অবহেলা করছেন।

আমাদের দাবিসমূহ:

১. রংপুর জেলার ট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত এসব কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা;
২. ভোটার তালিকা হতে অশ্রমিকদের ভুয়া ভোট বাতিল করে প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা;
৩. ইউনিয়নের অর্থনৈতিক অনিয়ম ও চাঁদাবাজির তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা;
৪. আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও দায়িত্বে অবহেলা প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৫. ইউনিয়নের সাজানো নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় সাধারণ সভা আহ্বান, ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করে বহিরাগত (অশ্রমিক)দের ভোটার তালিকা হতে ছেটে ফেলা, কোরাম পূর্ণ সাধারণ সভার মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রস্তাব ও সমর্থনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন পূর্বক একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। মহোদয়, আমাদের এই ন্যায়সংগত দাবিসমূহ দ্রুত বিবেচনা করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত পক্ষে,

হাবিবুর রহমান বুলেট ও সদস্য ৩০১
রংপুর জেলা ট্রাক,লরি,কাভার্ভ ভ্যান কাভার্ভ ভ্যান ওট্রাক্টর ইউনিয়ন।