
ডেক্স রিপোর্ট
দৈনিক বৈষম্যমুক্ত
শেখ হাসিনার শাসনামলে টেন্ডারবাজি, বালু ব্যবসাসহ এতিমখানা, জেলা কারাগার ও হাসপাতালে রোগীদের খাবার বরাদ্দ থেকে পার্সেন্টেজ নিয়ে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন; এমন আওয়ামী-যুবলীগ নেতার সংখ্যা শতাধিক। গণ-অভ্যুত্থানের পর তাদের বেশিরভাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের সম্পদ ও অর্থের পরিমাণ এতো বেশি যে-অজ্ঞাত স্থান থেকেও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে কেউ কেউ তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের মধ্যে একজন গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রাজিব এবং আরেকজন গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। জানা গেছে, আগস্ট মাস থেকেই শ্বশুরবাড়িতে পরিবারের লোকজনকে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গাইবান্ধা জেলা যুব লীগের সম্পাদক আহসান হাবীব রাজিব। তিনি পালিয়ে থাকলেও তার শপিংমলের নির্মাণ কাজ আর টেন্ডারসহ সবই চলছে।
এছাড়াও ঠিকঠাকভাবে চলছে-নিজের ভাটায় ইট তৈরি, গরুর খামার, বিদেশি পাথরে আলিশান কারুকার্যময় বাড়ি তৈরিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার কাজ। স্থানীয়দের প্রশ্ন, যুবলীগের এই নেতা কীভাবে শত কোটি টাকার মালিক হলেন। বর্তমানে তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকেও কীভাবে নিজের ব্যবসা আর ঠিকাদারি কাজ নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছেন।
এখনও তার টাকার জোগান কোথা থেকে আসছে। অভিযোগ রয়েছে-এই নেতার বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় একাধিক মামলা হলেও তার শত কোটি টাকার উৎস নিয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। তার ব্যবহৃত সাদা রংয়ের গাড়িটি বর্তমানে ঢাকায় চলাচল করছে বলে জানা গেছে। এদিকে সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও তার বেকার স্বামী মাহবুবুর রহমান আগস্টের শুরুতে গা ঢাকা দেন।
ঢাকা ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ির বাড়ি এবং জোর করে নেওয়া গণপূর্ত বিভাগের কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ ফেলে তারা সটকে পড়েন। সাবেক এমপি স্মৃতি শত কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি কানাডার বেগম পাড়ার বাড়িতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তার স্বামী মাহবুবুর রহমান সম্পদ দেখভাল করছেন। গোপনে ঢাকায় অবস্থান করে টেন্ডারবাজির কলকাঠি নাড়েন এখনো। তবে এরই মধ্যে বিস্ফোরক আইনে সাবেক এমপি স্মৃতির ভাই শত কোটি টাকার মালিক পাপুল গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু স্বামীসহ এমপি স্মৃতি পালিয়ে থাকলেও তাদের স্বাভাবিক আর্থিক কাজকর্মের জোগান দিচ্ছেন কারা, তার হদিস নেই।