
রাশেদ রানা
স্টাফ রিপোর্টার
কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যথেষ্ট চাপে পড়লেন ট্রাম্প ফিরে আসায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, রাজনৈতিক সঙ্কটের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপরে কী প্রভাব ফেলবে তা কূটনৈতিক চর্চার কেন্দ্রে চলে এল।
প্রতিবেশী হিসাবে দীর্ঘতম সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া ভারতের জন্যও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে আগামী দিনে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যথেষ্ট চাপে পড়লেন ট্রাম্প ফিরে আসায়।
ইউনূসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে মধুর নয়, তার নথি আজ আরও এক বার প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতীয় সূত্রেও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৬-য় ট্রাম্পের জয়ের পরে উভয় পক্ষ কী ভাবে বিষোদ্গার করেছিল। যদিও আজ ফলাফল চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ইউনূস ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সবিস্তারে লিখেছেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এটাই বোঝায় যে আপনার নেতৃত্ব ও লক্ষ্য আমেরিকার জনগণের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আপনার নেতৃত্বে আমেরিকা উন্নতি করবে ও বিশ্ব জুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’ তাঁর কথায়, ‘বাংলাদেশ ও আমেরিকার পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
আপনার আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। আমি দু’দেশের অংশীদারি আরও শক্তিশালী করতে ও টেঁকসই উন্নয়নের জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কয়েক বার বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেই স্মৃতিচারণা করেছেন হাসিনা। তাঁর আশা, প্রেসিডেন্টের আসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার বসার পরে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।