আমি কথাও বলতে পারতাম না, আব্বুকে চিনতামও না, তখন থেকে আমার আব্বু জেলে!

শেরার করুন

জাকির হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা

আমার বয়স ১৭, আমার আব্বুর জেলে থাকার বয়সও ১৭’-এমনটি বলে নিজের দুঃখ প্রকাশ করেছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার জাহাঙ্গীর বদরের মেয়ে সাফাজ হুমাইরা।

গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে রোববার সব আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরও একজন। সাফাজ হুমাইরা বলেন, ‘আমার বয়স যখন ৪ মাস, তখন আমি কথাও বলতে পারতাম না। আব্বুকে চিনতামও না। তখন থেকে আমার আব্বু নাই।

আমি জন্মের পর থেকে বাসায় কখনো আব্বুকে দেখিনি।’ খালাসের খবরে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন একবার জেলখানায় আব্বুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। এখন আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি।

আজ আমি অনেক খুশি।’ জাহাঙ্গীরের বোন দাবি করেন, তার ভাই ও বাবার নামের সঙ্গে অন্য আসামির নাম-পরিচয়ের মিল থাকায় তাকে ভুলভাবে গ্রেফতার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। তাকে গ্রেফতারের পর এক মাস গুম করে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে পাওয়া গেলেও এতদিন ধরে এ মামলা চলমান ছিল।

বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের বিপ্লবী সভাপতি জনাব আব্দুল ওয়াদুদ’কে দেখতে ও শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে, তাঁর বাসভবনে যান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বগুড়া জেলা শ্রমিক দলের এক নম্বর সদস্য লায়ন ফরিদ আহমেদ।