
স্টাফ রিপোর্টার।
পৃর্বের নেতাদের মতো তাহাজ্জুদের গল্প উনি শোনান না।
অথচ ইউনূসের হাত ধরেই হজ্জের জন্য বিশেষ অ্যাপ তৈরি হলো। দোয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত পাবেন হাজ্বীরা।
এবারই প্রথম রমজানে সেহরি বা ইফতারে কারেন্ট গেল না। গ্রামের লোকজন যে কী আরাম পাইছে, তারাবী পড়ছে, তাহাজ্জুদ পড়ছে, চিন্তা করতে পারবেন না।
রমজান পার হয়ে ঈদ চলে আসলো। বাজার স্টেবল। কত মানুষ যে কতজনকে ইফতার করাইতে পারছে এবার। অথচ গতবার এইটা কমাতে হয়েছিলো অনেক।
গতকাল ভাষণে ইউনূস বললেন, ঈদে আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারত করবেন। শবে ক্বদরে দেশের জন্য দোয়া করবেন। গরীব আত্মীয়দের সাহায্য করবেন।
এই কথা বা কাজগুলো গত ১৫ বছর তথাকথিত তাহাজ্জুদ পড়া কওমী জননীর থেকে শুনতে পেয়েছিলেন?
পান নাই।
পেয়েছিলেন আমি সবাইকে খাওয়াই, সবাইকে ইফতার করাই, দেশে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে, কোন গরীব নাই, মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি খান, রমজানে এতো বেশি বেশি খান কেন? কম খান। সাথে তো তারাবি আর সাহরিতে লোড শেডিং ছিলো। ইভেন মসজিদের এসি চালাইতে না করছিলো গতবার।
অথচ ইউনূস নাকি ইসলাম বিরোধী। ইউনূস নাকি আমেরিকার দালাল। ইউনূস নাকি লিবারেল। সে আসলে ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাবে।
ফ্যাক্ট ইজ, এতো আরাম করে রমজান পালন এই দেশের মানুষ আগে করতেই পারে নাই।
সাথে চাঁদরাতে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিছে। ঈদের দিন হবে বাংলা সালতানাতের ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিল।
ইউনূসের হাত ধরেই আমাদের এই বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার শুরু হলো।
তাই লেবাস দেখে, পারসেপশন দেখে বা ধর্মের মুখোশ দেখে কে ভালো কে খারাপ প্রচার কইরেন না।
অযোগ্যরাই কেবল চুরি করে, খুন করে, গুম করে এসে তাহাজ্জুদের গল্প শোনায়।
যোগ্যরা দায়িত্ব পাইলে গল্প না শুনিয়ে মানুষের ধর্ম পালনটা সহজ আর সুন্দর করে দেয়।
একজন শাসকের জন্য এরচে বড় ইবাদত আর কী হতে পারে, বলেন তো?