সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেছেন, বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান চালিকা শক্তি। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্ব চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ওসমানী শুধু একজন সামরিক নেতা নন, তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব, যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে ওসমানীর অসামান্য অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে, যাতে তারা ওসমানীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। ওসমানীর মতো নেতা ইতিহাসে বিরল। তাঁর জীবনাদর্শ থেকে দেশপ্রেম ও নৈতিকতার শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমী মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ জাতীয় কমিটি সিলেট আয়োজিত আলোচনা সভা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদার পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মুরারীচাঁদ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন (বিএমবিএফ) সিলেট বিভাগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আসাদুজ্জামান, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিঃ এর ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার, লাল দির্ঘারপাড় পুরাতন হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান কামালী, বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম এ হান্নান, সহ-সভাপতি আশরাফুর রহমান চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির চিত্রাংকন কমিটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এম এ মতিন।