কুড়িগ্রাম সদর এলাকা হতে হাতিবান্ধা থানার ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

শেরার করুন

স্টাফ রিপোর্টার।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র‌্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বির“দ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

উল্লেখ যে,
গত ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে আসামী শ্রী বিষ্ণু চন্দ্র রায় (২৬) এর বড় ভাইয়ের সঙ্গে ভিকটিমের বিবাহ হয়।
সেই থেকে ভিকটিমকে আসামী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভালবাসার সম্পূর্কে গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে ভিকটিমরে স্বামীর সহিত মনোমালিন্য হয় এবং ভিকটিম তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।

গত ০৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া মোটরসাইকেলযোগে ধৃত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন এক ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। আসামী ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে র‌্যাব-১৩, রংপুর, সিপিএসসি ক্যাম্পের নজরে আসলে তাদের একটি আভিযানিক দল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আসামীর অবস্থান নির্ণয় করে এবং অদ্য ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর থানাধীন সদর হাসপাতাল পাড়ার প্রতিবন্ধী স্কুলের পূর্বপাশে মোঃ শাহিনুর ইসলাম (৫০), পিতা-মৃত বুদু এর ভাড়াটিয়া বাসা হতে উপর অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং আসামী শ্রী বিষ্ণু চন্দ্র রায় (২৬), পিতা-শ্রী মানিক চন্দ্র,, সাং-দক্ষিন মুশরত মদাতী, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।