
স্টাফ রিপোর্টার।
’বাংলাদেশ আমার অহংকার’, এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিএসসি রংপুর এবং র্যাব-১০, ব্যাটালিয়ন সদর, কেরানীগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক যৌথদল কর্তৃক অদ্য ০৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১১৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা মডেল টাউন বিসমিল্লাহ মিনি শপ এর সামনে থেকে এবং রোড নং ১, ব্লক-এ আর রাহিক হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা সামনে থেকে পৃথক ২টি অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং, ২নং ও ৫ নং আসামী, ১। মোঃ মুফদিউল ইসলাম আদনান (৩৪), ২।মোঃ মেহেদীবুল ইসলাম@ আদিব (৩৬), উভয় পিতা-মৃত এসএম ওবায়দুর ওরফে পেয়ারা এবং ৫। মোছাঃ রওশন আরা রুনু (৫৮), স্বামী- মৃত এসএম ওবায়দুর ওরফে পেয়ারা, সর্ব সাং- পাকুরিয়া শরীফ, থানা-গংগাচড়া, জেলা- রংপুরদের’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাদী কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহার অনুযায়ী গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০:১০ ঘটিকায় আসামী মোঃ মেহেদীবুল ইসলাম @আদিব(৩৬) তার পরিবারবর্গ মিলে জমিজমার জের ধরে ভিকটিম শহিদুল্লাহ বঙ্গ’ কে লাঠি-সোটা, দা,ছোরা, লোহার রোড, কোদাল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ভিকটিমকে বুকে, পিটে, কাঁধে ও মাথায় সজোরে ভিকটিমের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরতর জখম করার এক পর্যায়ে ভিকটিমের মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরবর্তীতে ২নং আসামী আদিব গলা চেঁপে ধরে শ্বাসরোধ চেষ্টা করে। পরবর্তীতে জানা যায় যে, জমিজমার ঝামেলা সংক্রান্ত জের ধরে আসামীরা পরিবারবর্গ মিলে ভিকটিমকে পূবপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। যার প্রেক্ষিতে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সময় ০০.১০ ঘটিকায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ আরফিনা খাতুন বাদী হয়ে রংপুর জেলায় গংগাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি র্যাব-১৩, সিপিএসসি রংপুর, এবং র্যাব ১০, ব্যাটালিয়ন সদর এর নজরে আসলে তারা ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান কেরানীগঞ্জ জিঞ্জিরা এলাকায় নিশ্চিত করে। উক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।