
জাকির হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
বগুড়া সারিয়াকান্দির বিভিন্ন চরাঞ্চলে চাষাবাদ করা কাঁচা মরিচ উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও চরাঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। আর নতুন মরিচ বাজারজাত হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষকরা বন্যার পানি নামার পর পরই জমিতে জো (কাঙ্খিত পানি) আসার পর আগামভাবে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছেন। তবে এ বছর মৌসুমের শেষের দিকে দেরিতে বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম রোপণ করা মরিচে রোগবালাই বেশি হয়েছে। আর মরিচের পচন রোগও বেশি হয়েছে। এতে জমিতে বারবার নতুন মরিচের নতুন চারা দিতে হয়েছে। তবে সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গত কিছুদিন ধরেই এ উপজেলায় মরিচ চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে। তাই মরিচের গাছগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে ও গাছে প্রচুর পরিমাণে মরিচ ধরেছে। তাই কৃষকেরা এখন তাদের পরিপক্ব কাঁচা মরিচ উত্তোলন ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার নারী কৃষি শ্রমিকরা সারিবদ্ধভাবে চরাঞ্চল জুড়ে কাঁচা মরিচ উত্তোলন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা সারাদিন মরিচ উত্তোলন করে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর এ উপজেলায় ৩৩১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল, চার হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ। এ বছর উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, ৩২০০ হেক্টর। কিন্তু মরিচ বপন বা রোপনকালীন সময়ে বৈরী আবহাওয়ায় জন্য ৩১৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে বৈরী আবহাওয়ার জন্য মরিচ গাছের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের পরামর্শে ও পরবর্তীতে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এখন বিভিন্ন এলাকায় মরিচের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকেরা কাঁচা মরিচ বাজারে বিক্রি করছেন ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এতে বাজারে মরিচের সংকট দূর হয়েছে। বাজারে মরিচের দাম কমতেও শুরু করেছে।