টেকনাফে কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি চক্রের ২ সদস্যগ্রেফতার।

শেরার করুন

 

 

মুসলেহ উদ্দিন
প্রতিনিধি কক্সবাজার জেলা।

টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের দুইজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত কিশোরকে তিনদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলো টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (২০) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে নুরুল আফছার (১৯)।

উদ্ধার হওয়া কিশোর মোহাম্মদ হামিম (১৫) উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে।

ঘটনায় দায়ের মামলার নথির বরাতে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশে মোহাম্মদ হামিম ঘর থেকে বের হয় নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত যুবক মোহাম্মদ সেলিম সাথে দেখা হয়।

পরে তাকে (হামিম) ফুসলিয়ে সেলিম টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও হামিম বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান পাননি।

পরদিন শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হামিমের মাকে জানান, তার ছেলেকে অপহরণকারিরা জিন্মি করে রেখেছে।

এসময় তাকে ছেড়ে দিতে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় পরে বিষয়টি অপহৃতের মা টেকনাফ থানায় এসে অবহিত করেন।

এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরের মা সাবেরা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদ সেলিমকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করেন বলে জানান ওসি।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি পুলিশ অবহিত হওয়ার পর অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে,এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে পুলিশের একটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালায়। এতে মোহাম্মদ ফয়সালের সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়,পরে ধাওয়া দিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।