
মীর আমিনুল ইসলাম বুলবুল :
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে রোববার (১২এপ্রিল) সূর্যোদয়ের সময় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে খানার মেলা’ উদ্বোধন করা হয়। মেলায় আগের দিন থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা আসতে থাকেন। ঢাকা,চট্টগ্রাম,ময়মনসিংহ,কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কবি,সাহিত্যিক,লেখক,গবেষক,শিল্পী,সাংবাদিক, সুধীজন একত্রে খনার মেলা অঙ্গনে ভোরের হাওয়ায় এই মেলা উদ্বোধন করেন। পরে লোকজ গান,খনার বচন আবৃত্তি,গাজীর গীত,কিসসা পালা,বাউলগানসহ বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয় সাংস্কৃতিক সম্ভার। কবি আবুল কালাম আল আজাদ,কবি ও গণসংগীত শিল্পী কফিল উদ্দিন,শিল্পী বীথিকা ঘোষ, মিজানুর রহমান,দেলোয়ার হোসেন, কেন্দুয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সেলিম, লোকসাহিত্য গবেষক ও সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাস,মেলার আয়োজক অত্র ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদরুন নূর চৌধুরী লিপনসহ কবি সাহিত্যিক ও সুধীজন বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়,মঙ্গলঘর পরিসর এর উদ্যোগে গ্রামবাসির সহযোগীতা ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহায়তায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যের এই খনার মেলা সোমবার পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে সমাপ্তি হবে। গ্রামের লোকজন ও আয়োজকগণ জানান,মূল অনুষ্ঠান হবে সন্ধার পরে পালাগান ও রাতভর বাউলগানের মাধ্যমে। পরে রাতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদা বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
মেলা আয়োজক সহযোগী আবুল কালাম আল আজাদ ও আয়োজক আব্দুন নূর চৌধুরী লিপন জানান, খনার মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তোলা এবং নতুন প্রজন্মের সাথে আমাদের গ্রামের কৃষ্টির পাশাপাশি কবি খনার সাথে পরিচয় ঘটানো। কৃষিপণ্য এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তার সাথে পরিচয় করানোর জন্যও লোকজ জিনিষপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। খনার এই মেলা এবার দ্বিতীয় বর্ষ হলো। খনার এমন মেলা আর কোথাও হয়েছে কি না আমরা জানি না। এই খনার মেলাকে আমরা আনেক দূর নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করি।