
মোঃ আবুল কালাম প্রতিনিধি গাজীপুর সদর।
পবিত্র মাহে রমজানে আল্লাহতালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য,পবিত্র আল-কোরআন নাজিল করেন, পবিত্র আল-কুরআনে এ বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে,
রমজান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্যই হিদায়াত এবং সুস্পষ্ট সত্য মিথ্যার পার্থক্য কারী আল কোরআন ( সূরা আল বাকারা আয়াত ১৮৫)
নিশ্চয়ই আমি একে নাজিল করেছি শবে কদরের রাতে, আপনি কি জানেন শবে কদর কি, নিশ্চয়ই যা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম, সে রাতে ফেরেশতারা এবং রুহ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার অনুমতি ক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতরণ করেন, যা এটা শান্তি ফজরের উদয় হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, (সূরা আল কদর আয়াত ১থেকে ৫)
পবিত্র আল কুরআনের এসব আয়াত থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে প্রথম কোরআ নাজিল করেন যা ছিল, হীরা গুহায়, মোহাম্মদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর (সূরা আলাকের ১ থেকে ৫ আয়াত)
এছাড়া আল্লাহ তাআলা পবিত্র আল কুরআনের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য বুঝানোর জন্য উল্লেখ করেন,
পবিত্র আল কুরআনের সূচনা শুরু হয়, প্রথম ওহী নাযিল হয়,৬১০ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় হীরা গুহায়, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর বয়স ছিল তখন ৪০ বছর, প্রথম হয়েছিল (সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত, )
,, পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট বাঁধা রক্ত থেকে, পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহা দয়ালু, যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানতো না,( সূরা আলাক )
কোরআন নাজিলের পদ্ধতি ও মাধ্যম ছিল হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, কখনো সরাসরি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হৃদয়ের নাযিল হতো, কখনো জিব্রাইল আলাইহিস সালাম মানুষের রূপে হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওহী নাযিল করতেন, আবার কখনো কখনো শব্দ আকারে ঘন্টির মতো হয়ে নিয়ে আসলেন,
কোরআন নাজিল হয় ধীরে ধীরে ২৩ বছর যাবত, মক্কায় ১৩ বছর (মাক্কি সূরা) মদিনায় ১০ বছর (মাদানি সূরা )
পবিত্র কোরআন নাজিলের লক্ষ্য, মানবজাতির হেদায়েত, এবং সত্য পার্থক্য বুঝানো, জীবন চলার সঠিক পথ নির্দেশ করা, ন্যায় বিচার, শান্তি ও সাম্যর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, আল্লাহর একত্ব প্রকাশ এবং নবুয়তের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা,
,,কোরআনে উল্লেখিত অনুযায়ী,আল্লাহ তা’আলা পুরো কুরআন,লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রেখেছেন, রমজান মাসের শবে কদরের রাতে, তা একেবারে বাইতুল ইজ্জতে (আকাশের প্রথম স্তরে )অবতীর্ণ করেন, এরপর হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে ২৩ বছর যাবত, মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর নাজিল করেন।
,, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবন দশায় সাহাবা আজমাইনরা কোরআন মুখস্ত করতেন,এবং তা লিখে রাখতেন
,, খলিফা হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সময় প্রথমবার কোরআন সংকলিত করা হয় এবং লিখা হয়,
,,খলিফা হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সময়কালে আনুষ্ঠানিকভাবে তা সংকলিত করা এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়।
,,পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ, এবং শেষ ওহী গ্রন্থ,
,,
এটি একটি মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
,,কোরআনের ভাষা ও বাণী আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত রাখা রয়েছে। পবিত্র আল-কোরআনের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা হেফাজতে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সংরক্ষিত রেখেছেন, নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি আমি এই কোরআনের রক্ষক, (সূরা আল হিজর ১৫. ৯)
,, কোরআনের প্রভাব ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র অর্থনৈতিক সামাজিক সকল ক্ষেত্রে কুরআনের গুরুত্ব অপরিসীম, কোরআনের শিক্ষা মানবজাতির জন্য সর্বকালের জন্য পথ প্রদর্শক।
,,পবিত্র আল-কোরআন শুধুমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ নয় এটি মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, এর বাণী যুগে যুগে মানুষের হেদায়েতের কল্যাণে যুগে যুগে অবদান রেখে চলেছে।