
মোঃ আবূল কালাম প্রতিনিধি গাজীপুর সদর।
,পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার অন্তর্গত পানাগড় এয়ারফোর্স স্টেশনকে পুনরায় মেরামত শুরু করেছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স।
,,খুব সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার অন্তর্গত পানাগড় এয়ারফোর্স স্টেশনকে পুনরায় মেরামত শুরু করেছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স। এতদিন যাবৎ এটি ইন্ডিয়ান আর্মির ৫৯ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সি-১৩০ ট্রান্সপোর্ট স্কোয়াড্রন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া পানাগড় এয়ারবেস ইন্ডিয়ান আর্মির ইস্টার্ন কমান্ডের আওতাধীন ১৭তম মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পসও ব্যবহার করে থাকে।
তবে প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স সেখানে বেশ কিছু হেভি শেল্টার/হ্যাংগার, ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করছে।
26m×31m এর লম্বা শেডগুলি দেখে সহজেই অনুমেয় যে এখানে তাদের সু-৩০ এমকেআই ডিপ্লয় করার ইন্টেনশন রয়েছে; কারন হ্যাংগারের সাইজ’ই বলে দেয় এগুলি ফ্ল্যানকার বেসড।
জোরহাট, কালাইকুন্ড, আগরতলা, হাসিমারার পর এবার পানাগর এয়ারবেসকে বাংলাদেশের জন্য থ্রেট হিসেবে তৈরি করে ফেলছে ইন্ডিয়া; বিশেষ করে আমাদের উত্তরাঞ্চল মারাত্মক থ্রেটে থাকবে।
সু-৩০ এর মত বিমান টেক অফের পর ফুল আফটার বার্নার ইউজ করলে ১২০ কিলোমিটার পার করতে পাঁচ মিনিটও লাগবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট সহ সমস্ত উত্তরাঞ্চল ডিপ পেনেট্রেশনের মত মেজর থ্রেট ফিল করবে।
,,হাসিনার আমলে ভারতের সাথে রংপুর গাইবান্ধা থেকে লালমনিরহাটের উপর দিয়ে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত করিডোর চুক্তি বর্তমান সরকারের আমলে বাতিল হওয়ায় ভারত আমাদের উত্তরাঞ্চলের জন্য থ্রেট হয়ে উঠতে যারপরনাই করছে।
,,এমতবস্থায় বাংলাদেশেরও লালমনিরহাটের পুরাতন এয়ারপোর্টকে মডিফাই করে নতুনভাবে সেখানে এয়ারফোর্স স্টেশন করার কোনো বিকল্প নেই। কাউন্টার থ্রেট তৈরি করতে না পারলে বাংলাদেশ আন্ডার থ্রেটেই থেকে যাবে।