
স্টাফ রিপোর্টার।
মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ২দুইঘটিকার সময় রংপুর আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এডভোকেট শফি কামালের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সঞ্চালনায় অনিষ্ঠত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন, এডভোকেট মোকসেদুল হক, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম লাল, এডভোকেট জুবাইদুল ইসলাম বুলেট,এডভোকেট আলাউদ্দিন আলমগীর প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং তেল সম্পদের উপর দখলদারিত্বের প্রয়োজনে ১৯৪৮ সালে ‘ইসরায়েল’ নামক একটি কৃত্রিম জায়নবাদী সামরিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী। ৭ হাজার কিলোমিটার দিয়ে শুরু হলেও ক্রমাগত ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে বর্তমানে ২২ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত হয়েছে এই কৃত্রিম রাষ্ট্রটি। ইতিমধ্যেই গাজার অর্ধেক ভূমি দখল করে নিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়া অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে এটিকে দানবীয় করে তুলেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লক্ষ ১৫ হাজার আহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। জাতিসংঘের তথ্য মতে গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ২২ লক্ষ বাসিন্দা সরে গিয়ে ঐ অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে দিতে বলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ও পশ্চিম তীরে বিলাসবহুল রিসোর্টসহ পর্যটন কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এটি মুসলমান বনাম ইহুদির যুদ্ধ নয়, এটি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে ও ইসরাইলি জায়েনবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার লড়াই। গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে খোদ ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। নেতৃবৃন্দ, গাজায় ইসরাইলি হামলা, গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুবই মামুলী বক্তব্য হয়েছে। সরকারের বিবৃতিতে জায়নবাদী ইসরাইলের মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বিন্দুমাত্র উল্লেখ না করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন অথচ বিশ্ব আজ অশান্তিতে ছেয়ে গেছে। গাজা জ্বলছে অথচ ইউনুস সাহেবের এব্যাপারে কোন বক্তব্য বিবৃতি নাই। ফলে বর্তমানে গাজায় গণহত্যা এবং ইসরাইল এর ভুমিকা নিয়ে ড. ইউনুসের বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের সাথে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল ও আন্তর্জাতিক সকল ফোরামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং মদদ দাতা মার্কিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আহবান জানান।
গাজায় গণহত্যা বন্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেন নেতৃবৃন্দ।