
সবুজের বাংলায় লাল কেন হবে?
বৈষম্যমুক্তের বাংলায় সন্ত্রাসী কেন থাকবে?
এই বৈষম্যমুক্তের বাংলায় সন্ত্রাসীর ঠাঁই নাই। ৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হওয়ার পর আবার নতুন করে সন্ত্রাসীরা দল তৈরি করে সেই দলের নাম সন্ত্রাসী কালাম বাহিনী। বলছি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের কালাম বাহিনীর কথা, সরকার পতনের পরে শ্রমিক নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে সন্ত্রাসী কালাম শুরু করে চাঁদাবাজি, নকল সোনার মূর্তি বিক্রি, এবং মাদক ব্যবসা। অনেকের জমিও দখল করেছে এই কালাম বাহিনী। স্বাধীন দেশে যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে না হয়।
তাহলে মানুষের জনজীবন হুমকির মধ্যে পড়বে। এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে না সাধারণ মানুষ। এমন কোন মানুষ নেই যে তার সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে। ৫ বছরের শিশু থেকে চা বিক্রেতা কেউ রেহাই পায়নি। গুনাহার ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে কালাম বাহিনীর তাণ্ডবের চিহ্ন। তালুচ গ্রামের চা বিক্রেতা কলম সাখিদার মাদক ব্যবসায়ী সহযোগিতা না করাই মাসখানেক আগে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয় কালাম বাহিনী। আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীনও এদের বিরুদ্ধে কেউ বলেনি।
কথা বললে হতে হয়েছে হামলার শিকার। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের উৎখাতের জন্য পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি, তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকার পতনের পর আবার যেনো নতুন করে কালাম বাহিনীর তাণ্ডব দ্বিগুণভাবে শুরু হয়েছে। সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে যারা গিয়েছিল তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায় কালাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। মামলার অভিযোগ পত্র লিখে দেয়ার কারণে কালাম বাহিনীর গভীর রাতে দেলবরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। এই সময় তাকে না পেয়ে তার পাঁচ বছরের শিশু কন্যার পা ছিঁড়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। পরে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা দেলবরকে পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। চারিদিকে কান্না ও আহাজারি বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই কালাম বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। কালাম বাহিনী এক আতঙ্কের নাম হয়েছে গুনাহার ইউনিয়নে। গুনাহার ইউনিয়নের ৪২ টি গ্রামে মূর্তিমান আতংকের নাম হয়েছে এই কালাম বাহিনী।
শ্রমিক দলের নেতা হয়ে কালামের তাণ্ডব যেন আরো দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জামাত ইসলামের অফিস ভাঙচুর করে এই কালাম বাহিনী, এই সময় জামাত ইসলামের কর্মীরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পাঁচজন গুরুতর আহত। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আবু তাহের জানিয়েছেন,,, বুধবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের পাশে আট থেকে দশটি মোটরসাইকেল রেখে নেতাকর্মীরা কথা বলছিলেন। এ সময় শ্রমিকদল নেতা কালামের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন তাদের উপর আতঙ্কিত হামলা চালায়।
জামাত নেতা কর্মীরা বাঁধা দিয়ার চেষ্টা করলে পাঁচজন গুরুতর আহত হন এবং মোটরসাইকেল চেয়ার টেবিল সব ভাঙচুর করেন কালাম বাহিনী। এভাবে হাজারো অপকর্ম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, কিন্তু তারা যেনো সকলের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নিয়ার জন্য এলাকা বাসী অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মুখে পড়তে চাই না। পুলিশ সুপার জানান,,, গুনাহার ইউনিয়নের শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বহাল থাকবে। সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা হয়েছে আশা করি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুঃসাহস এই বাহিনীর সদস্যরা দেখাতে পারবে না এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।