জাকির হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার
রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে গত ১মাসে ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্তে অপেক্ষা করছে ২ লাখ। কমপক্ষে ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে তারা প্রবেশ করছে। মংডু এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে বেশি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কথা জানান। তিনি জানান, ” এটা কীভাবে ঠেকানো যায়, সেটা আমাদের চেষ্টা করতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘নীতিগতভাবে আমরা কোনো রোহিঙ্গাকে নতুন করে আশ্রয় দেবো না, যদিও দুঃখ লাগে কথাটা বলতে, কিন্তু আমাদের জন্য সাধ্যের অতীত, আর পারবো না তাদের আশ্রয় দিতে।”
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১ মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু সীমান্তে জড়ো হয়েছে আরো প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা। নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেও নানা কৌশলে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এক শ্রেনির দালালও তাদের অর্থের বিমিয়ে ঢুকতে সহায়তা করছে।
উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ইউনুস আরমান বলেন,” আমরা জানতে পেরেছি রাখাইন রাজ্যের মংডুতে চলমান যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। মংডু টাউনে থাকা সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক (ব্যাটালিয়ন) দখলের জন্য মরিয়া আরাকান আর্মি। গোলাগুলির পাশাপাশি দুই পক্ষ থেকে ছোঁড়া হচ্ছে মর্টার শেল, গ্রেনেড-বোমা। মাঝেমধ্যে ড্রোন হামলাও চালানো হচ্ছে।
রাখাইনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে গত ১ মাসে ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কমপক্ষে ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে তারা প্রবেশ করছে। মংডু এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে বেশি৷
কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প
কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রতিদিনই ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গা দেখা যাচ্ছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১ মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু ও অন্যান্য সীমান্তে জড়ো হয়েছে আরো প্রায় ২ লাখ
