ডেক্স রিপোর্ট
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা (Proportional Representation-PR)
আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ১টি সেক্টরের সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবনার শুরুতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই এই পিআর সিস্টেমটা কী—
এ পদ্ধতিতে ভোটাররা কোনো প্রার্থীকে ভোট দেয় না, রাজনৈতিক দলকে ভোট দেয়। নির্বাচনে যে কয়টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা প্রদত্ত ভোটের মোট সংখ্যার শতকরা যত ভোট যে দল পায় পার্লামেন্টের আসন সংখ্যার শতকরা ততভাগ আসনে ঐ দল বিজয়ী বলে গণ্য হয়।
যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৩০ ভাগ ভোট পেল সেই দল সংসদের শতকরা ৩০ ভাগ আসনে বিজয়ী বলে ঘোষিত হবে।
নির্বাচনের পূর্বে প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী দল সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সংসদ সদস্য হবার যোগ্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা নির্বাচন কমিশনের নিকট পেশ করবে। ঐ তালিকাটিতে দলীয় ব্যক্তিদের নাম যোগ্যতার মানের ক্রম অনুযায়ী সাজানো থাকবে। এভাবে দলীয় তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রাপ্ত মোট ভোটার সংখ্যার অনুপাতে যে দল যে কয়টি আসনের অধিকারী হয়, নির্বাচন কমিশন দলীয় তালিকার প্রথম থেকে শুরু করে ঐ সংখ্যক ব্যক্তিকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে।
কোনো দল নির্দিষ্ট সংখ্যার ভোটের কম পেলে ঐ সংসদে উক্ত দলের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। যেমন : তুরস্কে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১০ ভাগের কম ভোট পেলে কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব পার্লামেন্টে থাকে না।
পিআর পদ্ধতি ডেনমার্ক, সুইডেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স ইত্যাদি রাষ্ট্রে চালু আছে।
একটি সমস্যার সমধান করতে হবে—
প্রচলিত নিয়মে একটি সংসদীয় আসনে ১ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন এবং তিনি ঐ অঞ্চলের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেবা করেন। পিআর পদ্ধতিতে এটা হবে না। প্রথম কথা হলো—সংসদ সদস্যদের কাজ হলো আইন প্রণয়ন করা। সমাজসেবা করার জন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় এবং লোকাল প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
দ্বিতীয়ত, সংসদ সদস্যগণ কোনো এলাকার প্রতিনিধি হবেন না; বরং তারা সারা দেশের জনগণের প্রতিনিধি। অবশ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য তাদেরকে একটি করে সংসদীয় এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
(রেফারেন্স : জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি-