ভারতে ঈদের নামাজে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করায় কয়েকজন যুবককে গ্রেফতার।

শেরার করুন

ভারতে ঈদের নামাজে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করায় কয়েকজন যুবককে গ্রেফতার। করেছে উ*গ্র হি*ন্দুত্ব-বাদী ভারতীয় সরকার। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ওই ফুটেজগুলোতে দেখা যায়, একদল মুসলিম যুবক তাদের ভারত এবং ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহ*ত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে।

এই কেবল ভিডিওর উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।

গ্রেফতারকৃত তরুণরা সাহারানপুরের জানাক নগরের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতদের পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের ছেলেরা কোনও প্রকার মিছিলে অংশগ্রহণ করেনি। কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের একজন হল ৪০ বছর বয়সী ফালাক। গ্রেফতার ফালাকের মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তার ছেলে নামাজ পরে ফিরে আসার সাথে সাথেই পুলিশ তাকে কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে তারা কোনও ওয়ারেন্টও জারি করেনি।

তিনি আরও জানান, ১৫-১৫ জন পুলিশ কোনও আইনের তোয়াক্কা না করেই তাদের বাসায় প্রবেশ করে। ওই সময় তাদের বাসায় শুধু নারী ও শিশুরাই ছিল। কেনও গ্রেফতার তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে জানতে চাইলে পুলিশ তাদের সাথে বাজে আচরণ করেছে বলেও জানিয়েছেন গ্রেফতার ফালেকের মা।

গ্রেফতারকৃতদের আরেকজন হল ২১ বছর বয়সী উজাইফ। নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তার পিতা মোহাম্মাদ নাসিম স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আমার ছেলে বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুর বেলা ১টার দিকে পুলিশ আমাদের বাসায় আসে। ওই সময় উজাইফ ঘুমাচ্ছিল। তাকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে ভাইরাল ওই ভিডিও দেখিয়ে ভিডিওতে থাকা যুবকদের সম্পর্কে জানতে চায়। উজাইফ যখন বলে সে ভিডিওতে থাকা কাউকে চেনে না, এরপর কোনও কথা ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

ভুক্তভোগী আরও যুবকের পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, পুলিশ তাদের বাড়ীতে এসে তাদের ছেলের সন্ধান চায়। পরে তার দেখা পাওয়া মাত্রই কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

পরে গ্রেফতারকৃত যুবকদের পরিবার সন্তানের সন্ধানে থানায় গেলে তাদের কোনও ধরণের তথ্যই দেয়নি। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের জানায় গ্রেফতারকৃত যুবকদের বিতর্কিত ভারতীয় ১৫১ ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা দায়েরকৃত এফআইআর এর বিস্তারিত কপি চাইলে তাদের তা দেয়নি পুলিশ।