
মোঃমনিরুল ইসলাম সাবু
লালমনিরহাট সদর,উপজেলা প্রতিনিধি:
রংপুর বিভাগ লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা অবস্থিত বাংলাদেশে রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী মাঠে ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ রোজ শুক্রবার বাংলাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে প্রথম আলোচক ও গবেষক ও বিশ্লেষক ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব উপস্থিত হইয়াছেন।
ইতিমধ্যে বিগত ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার থেকেই দূর দুরান্ত থেকে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।বিগত শুক্রবার রাত থেকে শত শত সাংবাদিকদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ও ক্যামেরা সহ জায়গা দখল শুরু হয়েছে।
ড. মিজানুর রহমান আজহারীর জন্য শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপস্থিত পাঁচ হাজার ভলান্টিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। দুই হাজার এর অধিক মাইক রয়েছে। লালমনিরহাট শহরে চারটি মাঠে ইলেকট্রিক এলইডি মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনা শোনার জন্য দেখার জন্য মহিলাদের সুব্যবস্থা রয়েছে।দূর দূরান্তর মানুষের জন্য ১০ টি স্কুলে শুকনা খাবার ও হোটেল ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া ফুটপাতে হাজার দোকানের ঢল নেমেছে।
আজ শনিবার সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত লালমাহাট শহরের যানবাহন বন্ধ করেছে। যানজট কমানোর জন্য শতাধিক ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। এবং স্পেশালি ফোর্স পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, গোয়েন্দা,সিআইডি,আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থেমোতায়ন করেছেন।
আজ শনিবার সারাদিন থৈ থৈ লাখ লাখ মানুষের মধ্যে ও এক নজর দেখা জন্য খুবই ধৈর্য সহকারে আসছে।শনিবার সকাল থেকেই লালমনিরহাট জেলার মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য অফিস আদালত সমস্ত কাজ থেকে বিরত রেখেছে। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার পানির মতো মানুষ ছুটে চলছে সোহরাওয়ার্দী মাঠে।তরুণদের আইডল, সুশিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ বক্তা, ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
তিনি অল্প কয়েকদিনে সব শ্রেণি- পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে যে ক’জন ইসলামি চিন্তাবিদ রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।খুব অল্প সময়ে সুললিত কণ্ঠে কুরআন-হাদিসের সহজ-সাবলীল আলোচনা করে অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার গবেষণাধর্মী আলোচনার কারণে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি বাংলা, আরবি, ইংরেজি ভাষায় খুবই দক্ষ। যে কারণে বিভিন্ন দেশের মানুষ তার আলোচনা বুঝতে পারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে তার একটি ফেসবুক আইডি ও একটি অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো ইউটিউব চ্যানেল নেই। মাসিক আয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাফসির মাহফিলে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন না। হাদিয়া হিসেবে যা পান তা-ই নিয়ে থাকেন। বছরের বেশিরভাগ সময় মালয়েশিয়ায় থাকেন। সেখানে পিএইচডি করছেন। সময় পেলে তাফসির মাহফিল করেন। মোনাজাত করে মাহফিলটি নিষ্পত্তি হয়।