
,,দৈনিক বৈষম্যমুক্ত।
মোঃ আবুল কালাম প্রতিনিধি গাজীপুর সদর,
,,যাকাতুল ফিতর ফিতরা আদায়ের বিধান ইসলামে সুনির্দিষ্ট ভাবে বর্ণিত হয়েছে, এটি রমজান পালনের শেষে ঈদুল ফিতরের দিনে গরিব-দুঃখী অসহায় অসহায় দরিদ্রদের জন্য ফরজ করা হয়েছে, এর উদ্দেশ্য হল,রোজার সময়, অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি,ও ক্রটি,বিচ্যুতি দুর করা, আর ঈদের আনন্দ গরিব দুঃখী অসহায় দরিদ্র মাঝে আনন্দে শরিক হওয়া।
,, যাকাতুল ফিতর প্রত্যেক নর-নারীর উপরে ফরজ, যদি তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের খরচের পর অবশিষ্ট অতিরিক্ত সম্পদ থাকে।
,, হাদিসে এসেছে :
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোজা পালন করে রোজা পবিত্র করার জন্য, এবং মিসকিন দের খাদ্য সরবরাহ করার জন্য যাকাতুল ফিতর ফরজ করা হয়েছে, তিনি এক সা,( প্রায় ৩: কেজি ) খেজুর বাওন জব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এটি ছোট বড়, নারী-পুরুষ,স্বাধীন -দাস, প্রত্যেক মুসলিমদের উপর ফরজ করা হয়েছে। (সহি বুখারী:১৫০৫, সহীহ মুসলিম:৯৮৪)
,,যারা যাকাতুল ফিতর আদায় করবে
,,যারা যাকাতুল ফিতর আদায় করবেন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম, স্বাধীন ব্যক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় পায়ের অতিরিক্ত সম্পদের মালিক ব্যক্তি।
,,যাকাতুল ফিতরের পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমাণ হলো, এক ব্যক্তি কর্তৃক এক সা, খাদ্যপ্রধান করা, ১শা প্রায় তিন কেজি, খাদ্যের ধরন হতে পারে, খেজুর,জব,গম,কিসমিস,অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা যায়।
,,
ফিতরার গ্রহণযোগ্য সময় হল, রমজানের শেষ তারিখ থেকে ঈদের দিন নামাজের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় ফিতরা প্রদান করা যায, ঈদের নামাজের আগে আদায় করা উত্তম, আর কেউ যদি ঈদের নামাজের পরে আদায় করে, তাহলে তা সাধারণ সদগা হিসেবে গণ্য হবে।
,, হাদিসে এসেছে :
যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করবে, তা গ্রহণযোগ্য যাকাত হিসেবে গণ্য হবে, আর যে ব্যক্তি নামাজের পরে আদায় করবে, তা সাধারণ সদগা হিসেবে গণ্য হবে।
(আবু দাউদ :১৬০৯: ইবনে মাজাহ: ১৮২৭ )
,,যাদেরকে ফেতরা দেয়া যাবে, যাকাতুল ফিতের নিম্নোক্ত লোকদের মধ্য বিতরণ করা যাবে, দরিদ্র, যাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সামর্থ্য নেই, মিসকিন, অসহায় ব্যক্তি, যাকাত সংগ্রহকারীদের, নতুন মুসলিম, যারা সদ্য ইসলাম গ্রহণ করেছে, দাসমুক্ত, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করি। (সূরা আত তালাক :৬০)
,,ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো, রোজা শুদ্ধি অর্জন করা, দরিদ্রদের সহায়তা করা, সমাজ ও সমতা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন প্রতিষ্ঠা করা, ঈদের আনন্দে সবাইকে শরিক করা।
,, যাকাতুল ফিতির হল, রমজানের শেষে ঈদের দিন, প্রত্যেক মুসলমান ফরজ, একটি দান, এটি ঈদের দিন ঈদের নামাজের আগে ঘরের দিকে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করতে হয়, এবং এর পরিমাণ খাদ্য এবং টাকা ও প্রদান করা যায়।
,, ২০২৫ সালে বাংলাদেশে ফিতরার হার সর্ব নিম্ন জনপ্রতি ১১০, টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা,নির্ধারণ করা হয়েছে,
,,ফিতরার পরিমাণ,ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী, ফিতরা আদায়ের জন্য, গম, আটা, খেজুর,কিসমিস,জব,পনিরের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা তার বাজার মূল্য, নির্ধারিত হয়েছে, ২০২৫ সালের জন্য, এই পরিমাণ ও তাদের রহমতুল্য মূল্য নিম্নরূপ : গম বা আটা, ১, ৬৫, কেজি বা এর বাজার মূল্য ১১০ টাকা,যব ৩, ৩০,কেজি বা এর বাজার মূল্য, ৫৩০ টাকা, খেজুর, ৩, ৩০, কেজি, বা এর বাজার মূল্য, ২,৩১০ টাকা, কিসমিস, ৩, ৩০, কেজি বা এর বাজার মূল্য, ১,৯৮০ টাকা, পনির, ৩, ৩০, কেজি বা এর বাজার মূল্য, ২, ৮০৫ টাকা।
,,
ফিতরা আদায়ের সময়, ঈদের নামাজের আগে আদায় করা উত্তম, এতে দরিদ্র অভাবীরা,ঈদের আনন্দ শরিক হতে পারে, তবে ঈদের নামাজের পরে ফিতরা আদায় করলে,সাধারণ সদকা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে,
,, ২০২৫ সালে ফিতরার হার সর্ব নিম্ন ১০৫ টাকা, থেকে সর্বোচ্চ ২, ৮০৫, টাকা, নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম ব্যক্তির উচিত, ঈদের নামাজের আগেই, ফিতরা আদায় করে, ঈদের আনন্দে শরিক হওয়া।