
বিপ্লব আহমেদ
প্রতিনিধি ঢাকা
প্রায় ১৩ বছরের অপেক্ষার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে পেশাগত কাজে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেলেন। গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহারের নীতিমালা অনুমোদন করেছে। তবে গুলি করার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে সুরক্ষিত অস্ত্রাগার না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সংরক্ষণ করতে হবে জেলা পুলিশ লাইনস বা সংশ্লিষ্ট থানার অস্ত্রাগারে।
নীতিমালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক থেকে উপপরিচালক পর্যায়ের ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, যত দূর সম্ভব ন্যূনতম বলপ্রয়োগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। তাতে কাজ না হলে দু-একটি গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। কোনোভাবেই প্রথমে দুটি ফাঁকা ও সরাসরি একটির বেশি গুলি চালানো যাবে না। নীতিমালায় বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের উপপরিচালক (৯০), সহকারী পরিচালক (৯৩), পরিদর্শক (১৮৬) এবং উপপরিদর্শক (২১০ জন)—মোট ৫৭৯ জন ৯ মিমি সেমি অটোমেটিক পিস্তল টি-৫৪ ব্যবহার করবেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি খুবই দরকার ছিল। কারণ, মাদকসংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা বেশির ভাগই সশস্ত্র ও বেপরোয়া হয়ে থাকে। তাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে অধিদপ্তরের নিরস্ত্র কর্মী হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। কিন্তু জরুরি অবস্থায় সব সময় প্রয়োজনীয় মাত্রায় সহযোগিতা পাওয়া নিশ্চিত নয়। এ কারণে অনেক দিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধিদপ্তরের জন্য এই অস্ত্র খুব প্রয়োজন ছিল। মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের জন্য সরকারের এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’
কর্মীদের দায়িত্ব পালনের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেষ্টা শুরু হয় সেই ২০১১ সালে।