
অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি দ্বারা অনুষ্ঠিত প্রহসনের ও নির্বাচনী ফলাফলের দাবিতে সংবাদ ও সম্মেলন।
স্টাফ রিপোর্টার আঃ মাবুদ।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব, হস্তক্ষেপ ও মিথ্যা পরিচয়ের সদস্য দ্বারা অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা না দেওয়া এবং শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচন নিশ্চিতকরণের আবেদন।
মহোদয়,
আমরা, রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি,কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং রাজ ৯২১) কলেজ রোড, রংপুর—এর সাধারণ শ্রমিকবৃন্দের পক্ষ হতে আপনাকে অবহিত করাতে চাই যে, আমাদের ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে সবক্ষেত্রে অনিয়ম, শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত স্বেচ্ছাচারী কার্যকলাপের মাধ্যমে, ইউনিয়নটি শ্রমিকদের, শ্রমিকদের জন্য ও শ্রমিকগণ দ্বারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়ে; আজকের অবস্থায় এসেছে। তারা অ—শ্রমিক ও প্রভাবশালী অংশকে ইউনিয়নে যুক্ত করে, ট্রেড ইউনিয়নটিকে কতিপয়ের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
আমাদের অভিযোগসমূহ:
১. ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি নিজেদের ক্ষমতা অটুট রাখতে বহিরাগত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রায় ১০০টি শাখা কমিটি গঠন করেছে।
২. প্রকৃত শ্রমিকদের উপেক্ষা করে, নেতাদের আত্মীয়—স্বজন, ব্যবসায়ী, চা দোকানদারসহ অন্যান্য পেশার ব্যক্তিদের প্রায় ২০০০ ভুয়া ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
৩. হালনাগাদ ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা ৪২০০ শ—এর অধিক। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৬৬ ভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ সভার কোরাম পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও, সাধারণ সভায় মাত্র ৩৫০ হতে ৪০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কোরাম না থাকলেও, ওই সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
৩. শ্রম অধিদপ্তর ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম তদারকি করার দায়িত্বে থাকলেও, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, শতাধিক শাখা ও ভুয়া ভোটারের অভিযোগের বিষয়ে কোনো তদন্ত বা অভিযোগ আমলে না নিয়ে, পক্ষপাতমূলকভাবে সাধারণ সভার তত্ত্বাবধান করেছে।
৪. ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাজানো নির্বাচনে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের খোদ উপ—পরিচালক, তার দপ্তরের ২ জন পিয়নকে সাথে নিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যা তার ন্যায়পরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আমাদের দাবিসমূহ:
১. অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল করতে হবে এবং শ্রম অধিদপ্তর যেন এই নির্বাচন নথিভুক্ত না করে।
২. শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র অনুসারে পুনরায় সাধারণ সভার আহ্বান করতে হবে।
৩. সদস্য তালিকা পুনঃনিরীক্ষা করে ভুয়া ভোটার বাতিল ও প্রকৃত শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
৪. একটি নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে শ্রম অধিদপ্তর ও প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা বিশ্বাস করি যে, শ্রম অধিদপ্তর আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে এবং ইউনিয়নের প্রকৃত শ্রমিকদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।