বাংলাদেশের আশার ফুল আশিক চৌধুরী—একজন নীরব বিপ্লবীর গল্প।

শেরার করুন

স্টাফ রিপোর্টার।

দেশ যদি সত্যিই একদিন আমূল বদলে যায়, মনে রেখো, সেই ইতিহাসে ড. ইউনুসের নামের পাশে উচ্চারিত হবে আরেকটি নাম—আশিক চৌধুরী।

বর্তমানে বিডা (BIDA) ও বেজা (BEZA)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আশিক।

সিঙ্গাপুরের HSBC ব্যাংকে অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকা এই মানুষটি দেশে ফিরে এসেছেন শুধুমাত্র দেশের জন্য কাজ করতে—টাকা কামানোর জন্য নয়, বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার জন্য।

মাত্র কয়েক মাসেই তার নেতৃত্বে যা যা হয়েছে, ভাবলেও গর্বে বুক ফুলে ওঠে:

স্টারলিং (Starlink) বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন, কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনা করেছেন।

নাসার সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে।

বিদেশি এক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলার এই বছরেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসছে।

৫টি মালবাহী জাহাজ ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে—বন্দর ও লজিস্টিক খাতে বিশাল অগ্রগতি।

রিভার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা চলছে, যার মাধ্যমে নদীভিত্তিক অর্থনীতি জেগে উঠবে।

৪টি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল বিদেশি বিনিয়োগে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রিক বা বুলেট ট্রেন চালুর জন্যও বৈদেশিক বিনিয়োগ সংগ্রহের কাজ চলছে।

এরই মধ্যে ১০টি ইকোনমিক জোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

তার লক্ষ্য একটাই—১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দেশে আনা, যার মাধ্যমে ৩ কোটি মানুষের জীবন বদলে যাবে, সৃষ্টি হবে কমপক্ষে ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

এইসব কিছু কিন্তু হচ্ছে একেবারেই নীরবে, চোখে পড়ার আগেই কাজ দিয়ে প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। এই মানুষগুলো—আশিক চৌধুরী, খলিলুর রহমান, শফিকুল আলম—যদি ধারাবাহিকভাবে কাজ করার সুযোগ ও রাষ্ট্রীয় সমর্থন পায়, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো মাত্র তিন বছর।

তাদের কাজ করতে দাও, সাপোর্ট করো। ইতিহাস গড়তে সময় লাগে না, লাগে সঠিক মানুষ আর সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ বদলাবে।